৩৬৫দিন। হন্যে হয়ে এখন আশ্রয় খুঁজছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু মুজিবর কন্যাকে পলিটিক্যাল শেল্টার দিতে রাজি নয় প্রথম বিশ্বের প্রায় কোন দেশই। ব্রিটেনের পর এবার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভিসা বাতিল করল আমেরিকা। আপাতত দিল্লিতে গুপ্ত আস্তানায় রয়েছেন হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে হাসিনাকে সেফ প্যাসেজ দিয়ে ভারতে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছিল, স্টপ ওভার হিসেবে ভারত থেকে বিদেশের কোন রাষ্ট্রে পাড়ি দেবেন হাসিনা। তিনি লন্ডনে যেতে চান। তার বোন শেখ রেহানা ব্রিটিশ নাগরিক। তাঁর মেয়ে ব্রিটেনের সংসদের সদস্যও। সার্বিকভাবে ব্রিটেনে আশ্রয় নিতেই আগ্রহী ছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার রাতেই জানা গিয়েছিল, হাসিনাকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত নয় ব্রিটেন সরকার। মঙ্গলবার, ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের অভিবাসন বিধি অনুযায়ী, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে স্থায়ী বা অস্থায়ী আশ্রয় দেওয়ার অনুমতি নেই ব্রিটেনে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার হাসিনার ভিসা বাতিল করে দেয় আমেরিকার বাইডেন সরকার। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিরোধীদের জেলে ভোরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতায় এসেছিল। সেই সময় বাংলাদেশের নির্বাচনকে প্রহসন বলে তীব্র আক্রমণ করেছিল আমেরিকা। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমেরিকার প্রভাব অনেকটাই বেশি। ফলে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভিসা বাতিল করায় বাকি পশ্চিমী দেশগুলিও সেই পথেই হাঁটবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, কোন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশে আশ্রয় নেওয়ারও পরিকল্পনা নিয়েছেন হাসিনা। সেখানেও যদি পলিটিকাল সেলটার না মেলে সেক্ষেত্রে তার পরবর্তী পছন্দের জায়গা ফিনল্যান্ড। সেখানেও ভিসা নিয়ে সমস্যা হলে আপাতত ফিনল্যান্ডের লাগোয়া দেশ বেলারুশে আপাতত যেতে পারেন। পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে ফিনল্যান্ডে আশ্রয় নিতে পারেন। এর মধ্যে কোন দেশেই আশ্রয় না মিললে শেষ পর্যন্ত বেলজিয়ামকেও নিজের আশ্রয় স্থলের তালিকায় রাখছেন। কারণ, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট যখন মুজিবর রহমানকে খুন করা হয়, সেই সময় বেলজিয়ামের ব্রাসেলসেই ছিলেন হাসিনা। সেখানেও তার বাড়ি রয়েছে। ফলে এখনই বলা সম্ভব নয় হাসিনার পরবর্তী ঠিকানা কোথায় হতে চলেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। সেই মতো মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছে।
সেনাবাহিনীতে রদবদলআওয়ামী লীগের সরকার পরিবর্তন হতেই বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আলমকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল পদে বসানো হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে। এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ করা হয়েছে মিজানুর রহমান শামিমকে।
জেল থেকে মুক্তি পাবে আন্দোলনকারী ছাত্ররামঙ্গলবার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন নেতা। বৈঠকে ছাত্ররা অনুরোধ করেন যে, আন্দোলনকারীদের ছেড়ে দেওয়া হোক। সেই অনুরোধ মেনে বাংলাদেশের জেলে আটকে থাকা আন্দোলনকারী ছাত্রদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জের ধরে পহেলা জুলাই থেকে পাঁচই অগাস্ট পর্যন্ত আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় যাদের আটক করা হয়েছে, আদালতের মাধ্যমে তাদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং। এদিকে, বাংলাদেশের সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে।