৩৬৫ দিন। হেমন্তের পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীনই মৃত্যু হলো একটি হিন্দু নাবালিকার ধর্ষণের মূল অপরাধী তফাজুল ইসলামের।বিরোধীদের অভিযোগ হিমন্তর পুলিশের হাতে কার্যত খুন হলো গণধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত তফাজুল ।উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেছিলেন যে এই মামলার আসামীরা গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হবে।কিন্তু তা যে পুকুরের জলে ডুবিয়ে অভিযুক্তকে হত্যার পর্যায়ে যাবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি কেউ।এই ৮ মাসে ইতিমধ্যেই ২৩ টি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে অসমের বিভিন্ন থানায় । মাত্র কয়েকদিন আগেই বাংলার রাজভবনে এসে পদ্মপাল ২ এর সঙ্গে দেখা করে গেছিলেন হিমন্ত। বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনাও করেন তিনি । অসম তৃণমূলের কটাক্ষ বাংলাতে অন্তত এইভাবে পুলিশের হাতে অপরাধীদের মর্ত্যু হয় না ।গণধর্ষণ কাণ্ডের পূর্নর্গঠন করার নাম করে তাকে এলাকার একটি পুকুরে নিয়ে যাওয়া হয় ও তারপরেই পুলিশের তরফে প্রচার করা হয় সে নাকি পুকুরে ডুবে আত্মহত্যা করেছে । তবে হেমন্তের পুলিশের এই মিথ্যা প্রচার এর বিরুদ্ধে ধিং এর সংখ্যা লঘুরা প্রতিবাদ করতে নামলেও তাদের কার্যত লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় হেমন্তের পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় হিন্দু মেয়ের গণধর্ষণে অন্য সম্প্রদায়ের ছেলের এই অস্বাভাবিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না সংখ্যা লঘু অধ্যুষিত নওগাঁর বাসিন্দারা।তোফাজুলের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে খুন বলে দাবি করে আন্দোলনে নামতে চাইলেও পুলিশের দমন পীড়ন নীতিতে তা করতে পারছেন না তারা। উল্লেখ্য, ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে অসমের নগাঁও জেলায় টিউশন থেকে সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয় এক হিন্দু নাবালিকা। বিবস্ত্র অবস্থায় এক ঘণ্টা একটি পুকুর পাড়ে পড়েছিল সে। এরপর স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তারই গণধর্ষণে অভিযুক্ত অন্তত ৩ জনের মধ্যে মূল অভিযুক্ত এই তফাজুল।শনিবার অসম পুলিসের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
পুলিশের দুর্বল সাফাই চিত্রনাট্যঅসমের নাগাঁও জেলার এসপি স্বপ্ননীল দেকা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন গণধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার তফাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস।আজ ভোর ৪টার দিকে আসাম পুলিশ তাকে অপরাধ দৃশ্য পুনর্গঠনের জন্য সেখানে নিয়ে এরপর তদন্তের জন্য অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে একটি পুকুরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়ই পুলিসের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করে সে। তখনই পুকুরে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। রাতের বেলায় পুকুরে তল্লাশি চালানো হলেও অভিযুক্তকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে শনিবার এসডিআরএফ টিমের সহায়তায় পুলিস আধিকারিকরা মৃতদেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি এসপি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সঙ্গে এতো পুলিশ থাকলে ও হাত বাঁধা থাকলে কিভাবে তফাজুল ওই অগভীর পুকুরে পড়লো । পড়লেও তাকে কেন টেনে তোলা হলো না । ফলে তোফাজউকলে পুলিশের হেফাজতে খুনের অভিযোগ মোটেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ।
ধর্ষণকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টাএই ঘটনার জেরে ধিং এলাকায় আন্দোলনে সামিল হয়েছেন পড়ুয়া ও স্থানীয়রা।ের মূলত সংখ্যালঘু। কিন্তু পুলিশ তাদের আনলেন ছত্রভঙ্গ করে দেয় । যেহেতু কট্টর হিন্দুপন্থী হিমন্ত তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাতেই এই পদক্ষেপ কিনা।এরফলে ঘটনায় যেহেতু ২ সম্প্রদায়ের লোক যুক্ত ফলে অসমে দাঙ্গা লেগে গেলে মুসলমান খেদাও এ সুবিধা হবে কট্টরহিন্দুপন্থী হিমন্তের ।বাস্তবিকভাবে যোগীর পরে ভাজপার এই ব্লু আইড বই এই হিমন্তই । সম্প্রতি বোরাক উপত্যকায় গন্ডগোল বাদ দিলে সম্প্রতি দাঙ্গার পরিস্থিতি হয়েছিল ২ ০ জুলাই ২০ ১২ এ ঘটেছিল বলে জানা গেছে । কমপক্ষে ১ ০ ৮ জন মারা গিয়েছিল এবং প্রায় ৪ ০ ০ টি গ্রাম থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর ৪ লক্ষ এরও বেশি মানুষ ২ ৭০ টি ত্রাণ শিবিরে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। এগারো জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছিলো ।