৩৬৫ দিন। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর ধর্ষণের মতো নারকীয় ঘটনা ঘটছে। এই পরিসংখ্যানই সময় বেঁধে ধর্ষণ-বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবি আরও জোরদার করছে। ধর্ষণ বিরোধী বিল এনে দিশা দেখাচ্ছে বাংলা। বাংলার বিধানসভায় ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহের ঘটনায় কঠোর শাস্তি দিতে অপরাজিতা বিল পাসের দিনেই এভাবে কেন্দ্রের মোদি সরকারের উপরে চাপ তৈরি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে বাংলায় ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা। সেই একই সভাবঞ্চ থেকে সংসদেও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান চালু করার জন্য নতুন আইন প্রণয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে দাবি তুলেছিলেন অভিষেক। মোদি সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করলেও আজ বাংলার বিধানসভায় পাস হয়েছে অপরাজিতা বিল। যেখানে ধর্ষণ এবং গণধর্ষণের ঘটনায় দেশের মধ্যে একমাত্র রাজ্য হিসেবে আজীবন কারাদণ্ড এবং মৃত্যুদণ্ডের সুপারিশ করা হয়েছে।
তারপরেই আরো একবার কেন্দ্রের মোদি সরকারের উদ্দেশ্যে অভিষেক দাবি তুললেন, সংসদে আসন্ন অধিবেশনে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা আইন সংশোধনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার দ্রুত করতে হবে।
প্রসঙ্গত গত ২২ অগস্ট অভিষেক দাবি তুলেছিলেন, এমন কঠোর ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনতে হবে, যা ঘটনার ৫০ দিনের মধ্যে অপরাধীকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্ত করা নিশ্চিত করবে এবং তাতে দোষীকে কঠোরতম সাজা দেওয়ার নিদান থাকবে।
এমনকি ২৮ আগস্ট ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকেও কেন্দ্রের মোদি সরকারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ওঁরা বলছেন দাবি এক, দফা এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। আমি বলছি, দাবি এক, দফা এক— ধর্ষণ বিরোধী আইন। আগামী দিনে তৃণমূল দিল্লিতে যাবে যাতে কেন্দ্রীয় সরকার ধর্ষণ বিরোধী আইন আনে। কেন্দ্রের শাসকদল যদি সংসদে এই বিল না আনে প্রয়োজনে আমি সংসদে প্রাইভেট মেম্বার বিল আনব। রাতারাতি নোট বাতিল হতে পারে, লকডাউন করতে পারে, তা হলে ধর্ষণ-বিরোধী আইন আসে না কেন? যাঁরা এই নারকীয় বর্বর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সমাজে থাকার অধিকার নেই।
