পুলিশ মারছ কেন? বডি চাই?
৩৬৫ দিন।বাম রামের মদতে ছাত্র সমাজের নাম নিয়ে নবান্ন চলো সার্কাসে পুলিশ যথেষ্ট সংযম দেখালেও অধিকাংশ জায়গাতেই তারা চূড়ান্ত হিংসার স্বীকার হয় । ইট, পাথর সহ লাঠির আঘাতে হলো হয়েছেন বেশ কিছু পুলিশ কর্মী ।কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে নাকি তারা ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ ডাকা নবান্ন অভিযানকে ঘিরে মঙ্গলবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা। অনেক প্ররোচনা সত্ত্বেও কোথাও ট্রিগার হ্যাপি হয়নি তারা বা সেভাবে লাঠিচার্জও করেনি পুলিশ। । ফলে রক্ত যা ঝরেছে তা অধিকাংশ পুলিশ কর্মীদেরই ঝরেছে । এখনো পর্যন্ত কতজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও প্রায় ৩০০ র কাছাকাছি পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে ও গ্রেফতার হয়েছে অন্তত ২৯৩ জন।তবে ধরপাকড় চলছে ফলে রাতে এই সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
কলকাতা পুলিশ এলাকায়কলকাতা পুলিশকে নিশানা করে একাধিক এলাকায় পাথর ছোঁড়া হয় । তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে, জল কামান ব্যবহার করা হয়।নিতান্ত বাধ্য হয়েই কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোঁড়া হয়। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে তাদের প্রায় ১৫ জনের বেশি কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে । সামান্য আঘাত লেগেছে প্রায় ৪৩ জনের। পুলিশের হাতে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ১৫৩ জন৷ তবে চিহ্নিত করে ধরপাকড় এখনো চলছে৷ এম জি রোড , ময়দান, হেস্টিংস , কলেজ স্ট্রিট সহ এবং অন্যান্য অঞ্চলেও নবান্ন অভিযানে সামিলদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোডেও উত্তেজনা তৈরি হয় । ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করা হয়। বিকেলে ধর্মতলা থেকে একটি মিছিল হাওড়ার দিকে যায় ।
হাওড়া কমিশনারেট এলাকায়নবান্ন যেহেতু হাওড়া কমিশনারেট এলাকায় পড়ে সেহেতু হাওড়া ব্রিজ , সাঁতরাগাছি রেল স্টেশন , কোনা একপ্রেসওয়ে. ফোরশোর রোড ও মৌলিক ফটক এলাকা সহ অন্তত ২৭ টি জায়গা থেকে বিক্ষোভকারীরা নবান্ন পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিল । হাওড়া পুলিশ সূত্রে জানায় হয়েছে তাদের প্রায় ৫০ জনের বেশি কর্মী আহত হয়েছে ।হাওড়া কমিশনারেটের হাতে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ৫৭ জন৷ তবে চিহ্নিত করে ধরপাকড় এখনো চলছে৷ নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে মিছিল পৌঁছতেই হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে নবান্নের রাস্তায় ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। এরপর তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও তাদের পিছনে ছুটতে শুরু করে। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ ও ধস্তাধস্তিতে ভাঙে পুলিশের ব্যারিকেড ৷হাওড়া ব্রিজেও চলছে তুমুল অশান্তি। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশের জলকামান। ফোরশোর রোডেও ধরা পড়ে ছাত্র সমাজের সার্কাসের একই অশান্তির ছবি।
বাংলার অন্যান্য জায়গায়নবান্ন চলো অভিযানের ঝাঁঝ কলকাতা পুলিশ , হাওড়া কমিশনারেট এর ওপর গেলেও বাংলা জুড়ে এই অশান্তির প্রভাব পড়েছে৷ এদিন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও যারা অশান্তি পাকিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারি জারি রয়েছে বলেই জানিয়েছেন মনোজ । আয়োজকরা প্রেস বৈঠকে শাস্তিপূর্ণ মিছিল বললেও একাধিক জায়গায় হিংসাত্বক হন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷