মহারাষ্ট্রে শিবাজী মূর্তি ভাঙতেই বিপুল দুর্নীতি ফাঁস
৩৬৫ দিন। মহারাষ্ট্রের রাজকোট দূর্গে মোদির উদ্বোধন করা শিবাজির মূর্তি মাত্র ঘন্টাখানেকের বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছিল হুড়মুড়িয়ে। এবার সেই মূর্তি নির্মাণে প্রায় ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি সামনে এল। গ্রেফতার করা হয়েছে মূর্তির বরাত পাওয়া সংস্থার মালিক ভাস্কর জয়দীপ আপ্তেকে। কি ভাবে দুর্নীতি হয়েছে মূর্তি নির্মাণে ? সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলার রাজকোট দূর্গে শিবাজি মূর্তি নির্মাণে ২৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে মহারাষ্ট্র সরকার। বরাত দেওয়া হয় ভাস্কর জয়দীপ আপ্তের সংস্থাকে। ৯ মাস আগে সেই মূর্তির ঘটা করে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ২৬ আগস্ট সেই মূর্তিই ভেঙে পড়ে হুড়মুড়িয়ে। প্রবল চাপের মুখে তদন্ত শুরু হতেই সামনে এসেছে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি। তদন্তে জানা গিয়েছে, ২৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও মাত্র দেড় কোটি টাকায় শিবাজির মূর্তি বানানো হয়েছিল। মূর্তিতে ব্যবহার করা সামগ্রী যেমন, স্টিল, নাটবল্টু অত্যন্ত নিম্নমানের ব্যবহার করা হয়।এয়নকি মরচে পরা স্টিল পর্যন্ত চালিয়ে দেওয়া হয় মূর্তি নির্মাণে। তাছাড়া ৬ ফুটের মূর্তি তৈরীর কথা থাকলেও তা বাড়িয়ে ৩৫ ফুটের বিশাল মূর্তি বানিয়ে ফেলা হয় খারাপ মানের সামগ্রী দিয়ে। ফলে বৃষ্টির জেরে ভার সইতে না পেরে ভাঙে মূর্তি। প্রশ্ন, মূর্তি তৈরীতে যদি দেড় কোটি খরচ হয় তাহলে বাকি ২৩৩ কোটি টাকা কোথায় গেল ? আধিকারিকরা কি জানতেন না মূর্তি তৈরীতে কত খরচ হতে পারে? জয়দীপের সংস্থাকে টেন্ডার দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েও একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। অভিযোগ, জয়দীপের সঙ্গে ভাজপার সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। তাই ভাজপা-শিন্ডে সরকার তাকে অনৈতিক এবং বেআইনি ভাবে বরাত পাইয়ে দেয়। শুধু এই একটি মূর্তি নয় এমন বিভিন্ন ফলক, সৌধ, মূর্তি নির্মাণের বরাত নিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ারদের। তাদের দাবি, জয়দীপকে গ্রেফতার করে দায় ঝেড়ে ফেললে হবে না। কোন আধিকারিকরা তাকে বিশাল টাকার বরাত পাইয়ে দিলেন, কার বা কাদের নির্দেশে তারা বরাত দিলেন এই সব বিষয়ে তদন্ত করতে হবে। সকলকে গ্রেফতার করতে হবে।