৩৬৫ দিন। আগামীকাল বুধবার রাজ্যজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার না চেয়ে, রাজ্যজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি করাই ভাজপার প্রকৃত উদ্দেশ্য। এই আবহের মধ্যেই মঙ্গলবার বনধ প্রতিরোধে প্রতিবারের মতো এবারও বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে, আগামীকাল বুধবার রাজ্যের সকল সরকারি অফিস, স্কুল, পুরসভার স্কুল, পঞ্চায়েতের আধিকারিক এর দপ্তর সহ সকল সরকারি দপ্তর খোলা থাকবে। প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে অন্যান্য দিনের মতোই অফিসে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কোন সরকারি কর্মচারী আগাম কোন তথ্য না দিয়ে, আগামীকাল কাজে যোগ না দেন তাহলে তার একদিনের বেতন কাটা যাবে। তার কর্ম জীবন থেকেও একদিন কাটা যাবে। প্রসঙ্গত, বাংলায় এখন আর বনধ হয় না। যে নতুন কর্মসংস্কৃতির সৃষ্টি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা, তার জন্যেই বাংলার মানুষ আর বনধে যোগদান করেন না। বনধ নামক শব্দটি ক্রমশ বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছে বাংলা থেকে। এই অবস্থায় নক্কারজনক রাজনীতির হাতিয়ার বনধের ডাক দিয়েছে ভাজপা বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
পরিবহণ সচল রাখতে কন্ট্রোল রুমবনধ প্রতিরোধে পরিবহন দপ্তরের বিভিন্ন কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত সরকারি বাস থাকছে রাস্তায়। আগামীকাল বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে ইতিমধ্যেই কলকাতা শহরে অন্য জেলা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে শুরু করেছে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী আগামীকাল সকালে কলকাতায় পৌঁছে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সমাবেশে যোগ দেবে। এছাড়াও সপ্তাহের মধ্যভাগে নিত্যযাত্রীদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত বাস রাস্তায় থাকবে বলে পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর। পাশাপাশি বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন গুলির কাছেও পরিবহণ দপ্তরের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, বুধবার তারা যেন বেশি সংখ্যায় বাস রাস্তায় নামায়। অন্যদিকে ওলা উবেরের মত বেসরকারি অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকেও রাস্তায় বেশি পরিমাণে থাকার আবেদন জানানো হয়েছে বলে পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর। খোলা হয়েছে পরিবহণ দপ্তরের অসংখ্য কন্ট্রোল রুম। ডিরেক্টর ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে যার নাম্বার ০৩৩-২৪৪২ ০২৭৮। সিটিসি কন্ট্রোল রুমের নাম্বার গুলি হল, ৮৬৯৭৭-৩৩৩৯১, ৮৬৯৭৭-৩৩৩৯২, ০৩৩-২২৪৮১৭৩২। সিএসটিসি কন্ট্রোল রুম ০৩৩- ২২৩৬০৪৬২, ০৩৩-২২৩৬০৪৬৩, এসবিএসটিসি এর কন্ট্রোল রুম দুটির নাম্বার ৮৪২০১-৭৫১৩৩ এবং ৯৪৭৪০-৫২৩৮৯। এছাড়াও জলপথ পরিবহনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। চালু থাকবে অতিরিক্ত ফেরি। অন্যদিকে ট্রাম পরিষেবাও চালু থাকবে। উল্লেখ্য, আগামীকাল বুধবার ভারতীয় জনতা পার্টির ডাকে বনধে সামিল হয়ে যেন ট্রেন বাতিলের ঘটনা না ঘটে, রেলকে সেই আবেদন করেছে রাজ্য প্রশাসন। কাল সকালে অনেক সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকে শহরে আসবে। তাই বনধে সামিল না হয়ে, বেশি মাত্রায় ট্রেন চালানো হোক সেই আবেদনই তুলেছে রাজ্যের শাসক দল।