৩৬৫ দিন। কলকাতার হায়াত রেজেন্সিতে শনিবার দুপুরে এক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যান্থেওলজিস্ট ব্যবসায়ি দম্পতি কৌশিক রয় এবং ডক্টর দেবাঞ্জলি রয়, মন্ত্রী মদন মিত্র ব্রিটিশ কাউন্সিল দেবাঞ্জন চক্রবর্তী এবং আরো অনেক বিশিষ্ট জনেরা। অনুষ্ঠানে কৌশিক রায় এবং ডঃ দেবাঞ্জলি রায় তাদের নতুন ভ্রমণ যাত্রার কথা তুলে ধরেন। তাদের এবারের লক্ষ্য বিমান পথে নয় সরক পথেই ১৮ হাজার কিলোমিটার জুরে কলকাতা থেকে লন্ডন পর্যন্ত ভ্রমণ করা। যার সময় লাগবে ৬৪ দিন। তারা ২৪ শে আগস্ট থেকে ২৫ শে অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা নির্দিষ্ট করেন। এই যাত্রায় এক একজনের মাথাপিছু খরচ ১৪ লক্ষ টাকা। তারা ২৩টি দেশ এবং তাদের সীমানা অতিক্রম করে লন্ডনে পৌঁছাবে। পৌঁছানোর আগে তারা যে সমস্ত দেশ অতিক্রম করবে সেগুলি হল নেপাল, চায়না, কাজাকিস্তান, উজবেকিস্থান, তুর্কমেনিস্থান, ইরান, আমেরিকা, তুর্কি, গ্রিস, বুলগেরিয়া, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি, চেজিয়া, পোল্যান্ড, স্লভাকিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, লিচেনস্টাইন, অস্ট্রিয়, ফ্রান্স, জর্জিয়া। লন্ডন অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রাক্তন কলকাতা থেকে লন্ডন গামি বাস পরিষেবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। যেটি একসময় বিশ্বের দীর্ঘতম বাস রুট ছিল। যেটি ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ১৩২ দিনের যাত্রার জন্য খ্যাত ছিল। তাদের ধারণা এখন এরই অ্যাডভেঞ্চার যাত্রা এক নতুন লক্ষ স্থাপন করবে, বাঙালিকে অ্যাডভেঞ্চার প্রেমে গড়ে তুলবে। এই উচ্ছাভিলাসি যাত্রায় তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন ১৫ জন ভ্রমণ উৎসাহী। যারা ২৩ টি ভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক ধরন, বৈচিত্র্যময় পরিবেশ এখানকার মানুষজন এবং আরো অনেক কিছু উপভোগ করতে আগ্রহী। এই দিন অনুষ্ঠানে কৌশিক রায় বলেন “এর আগে দীর্ঘ ক্রস কান্ট্রি ট্রিপ করার পরে একটু ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক, কিন্তু এই ধরনের বৈচিত্র্যময় দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ সংযোগ কে তুলে ধরে”। ডঃ দেবাঞ্জলি রায় বলেন “ যখন বিভিন্ন দেশের মাটির গন্ধের পরিবর্তন, ভাষার পরিবর্তন, খাবারের পরিবর্তন ও আরো অনেক কিছুই পুরো যাত্রাটিকে আরো মূল্যবান করে তোলে। আরো বিশিষ্ট যোনেরা বিশেষ বিশেষ বক্তব্য রাখেন এই অনুষ্ঠানে। শেষে কৌশিক রায় জানান তারা এই কলকাতা থেকে লন্ডন সফরের জন্য দুটি থর, দুটি বিএমডব্লিউ এবং দুটি টয়েটো তো গাড়ি বেছে নিয়েছেন। তাদের এই অভিযানের আসল উদ্দেশ্য হলো অন্য দেশেকে বোঝানো যে বাঙালি কতটা অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়।
