৩৬৫ দিন। ঝাড়খণ্ডে ভাজপার অপারেশন লোটাস ফেল। মহারাষ্ট্র মডেলে ঝাড়খণ্ডে চম্পাই সোরেনকে দলে নিয়ে হেমন্ত সোরেন সরকার ফেলে দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল ভাজপা। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন চম্পাই স্বয়ং। দিল্লি এসে চম্পাই জানালেন ব্যক্তিগত কারণে দিল্লি এসেছি। ভাজপায় কেন যোগ দিতে যাব? সামনেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোট। তার আগে চম্পাই সোরেন বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন বলে গুজব ওঠে। কিন্তু এদিন চম্পাই জানিয়ে দেন তিনি বিজেপির সঙ্গে যাচ্ছেন না। যে দলে এতদিন ছিলেন সেখানে থাকবেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা
সূত্রে খবর, হেমস্ত সোরেনকে বেআইনি ভাবে জেলে ঢোকানোর পর ভাজপা দল ভাঙানোর খেলায় নামে। একাধিক প্রথম সারির নেতা মন্ত্রীকে ভাজপায় যোগ দেওয়ার জন্য নানা রকম টোপ দেওয়া হয়। সে সবে কাজ না হওয়ায় টার্গেট করা হয় চম্পাইকে। তাকে বোঝানোর চেষ্টা হয় হেমন্ত শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী রইলেন ভাজপায় এলে তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে। সেই মত দিল্লিতে তার যোগদানের ব্যবস্থা পর্যন্ত করে ফেলা হয়। কিন্তু পোর খাওয়া চম্পাই শেষ পর্যন্ত ভাজপাকে ল্যাজে খেলিয়ে কুপোকাৎ করে সাফ জানিয়ে দিলেন ক্ষমতা বা পদের লোভ
নেই। ভাজপায় যাব না। যেখানে আছি ভালো আছি। সেখানেই থাকবো। হেমন্ত সোরেন জেল যাওয়ার পর চম্পাই সোরেন দলের হাল ধরেন চম্পাই সোরেন। দলের প্রতি তার নিষ্ঠা দেখে অনেকে অবাক হয়ে যায়। তবে এবার ফের একবার এই সিদ্ধান্ত দলকে বাড়তি স্বস্তি দিল। যদিও চাপের মুখে ভাজপার সাফাই সবটাই গুজব। এমন কোনও প্রস্তাব চম্পাইকে নাকি দেওয়াই হয়নি। পাল্টা জেএমএম বলছে, তাই যদি হবে তাহলে কেন ঝাড়খণ্ডে ভাজপার তরফে মহল্লায় মহল্লায় প্রচার করা হচ্ছিল চম্পাই সোরেন ভাজপায় যোগ দিচ্ছেন। আসলে এটা পরাজিতের আর্তনাদ।