৩৬৫ দিন।নাইট ডিউটি করবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল।আর ফিরলনা।মেয়ের মৃত্যুতে একেবারে ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা।উদ্বিগ্ন হয় পরিবারকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর।এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরিবারকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।চিকিৎসকের বাবা জানিয়েছেন,মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। জানিয়েছেন,যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন।চিকিৎসকের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে শেষ ফোনে কথা হয়েছিল তাঁদের মেয়ের সঙ্গে। চিকিৎসকের মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করে ফেলা হয়েছে। পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়ের শরীরে কোনও কাপড় ছিল না। শরীরে একাধিক দাগ ছিল। ঘটনায় আরজি করে পৌঁছেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব। তদন্তের দাবিতে কর্মবিরতি দেখিয়েছেন,তরুণী চিকিৎসকের সহপাঠীরাও।জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে আশ্বাস দিয়েছেন।জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত হবে।এদিন,মেয়েকে দেখতে এসে তাঁর মা করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ।তিনি বললেন,আমার মেয়েটাকে খুন করে ফেলেছে ওরা।আমার একটা মাত্র মেয়ে।অনেক কষ্ট করে ডাক্তার করেছিলাম।আর বিধ্বস্ত বাবা বললেন,আমার মেয়েটাকে তো আর ফিরে পাব না।পরিবারের আরও অভিযোগ, খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে পৌঁছানোর পর তাঁদের প্রথমে দেহ দেখতেই দেওয়া হচ্ছিল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। মৃত চিকিৎসকের সহকর্মীর বক্তব্য, “ খুন।আমাদের কাছে খুবই সাসপিসিয়াস সারকামটান্সেস লেগেছে।পানিহাটির নিম্ন মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ে।একমাত্র সন্তান।ছোটবেলা থেকেই মেধাবী।পানিহাটি চন্দ্রচূড় স্কুলের নক্ষত্র ছাত্রী ছিলেন।তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখেছেন বাবা-মা, শিক্ষিকারা।সে স্বপ্নপূরণ তিনি করেছিলেন।প্রথম চান্সেই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ।ডাক্তার হয়ে গিয়েছিলেন।কলকাতার প্রথম সারির হাসপাতাল আরজি করে রোগীর পরিষেবায় ছিলেন তিনি।বৃহস্পতিবার রাতেও খাবার খাওয়ার পর ফোনে কথা হয়েছিল বাবার সঙ্গে।কিন্তু তারপরের যে ফোনটা এল পরিবারের কাছে,তাতে গোটা পৃথিবীটা যেন এক লহমায় অন্ধকার হয়ে গিয়েছে তাঁদের। ফোন এসেছিল,তাঁদের সন্তান নাকি আত্মঘাতী হয়েছেন।যদিও প্রথম থেকেই সে দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে পরিবার। বাবা-মা থেকে প্রতিবেশী সকলেরই দাবি, কেন আত্মঘাতী হবেন সফল একজন চিকিৎসক। চনমনে স্বভাবের মেয়েটা যে সকালেও ভাল মনে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন।মায়ের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁকে।উল্লেখ্য,শুক্রবার সকালে ওই চিকিৎসকের মৃতদেহ হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছে।
