৩৬৫ দিন। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিল ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল ঝড় বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। কিন্তু আবহাওয়া দপ্তরের যাবতীয় পূর্বাভাস অগ্রাহ্য করেই রেড রোডে দুর্গা পুজো কারণে হল দেখতে ভিড় জমালেন লক্ষাধিক মানুষ। রেড রোডের দুপাশ ধরে বসার জায়গা পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল দুপুর তিনটের মধ্যেই। বি
কেল সাড়ে চারটা থেকে রেড রোডে দুর্গাপুজো কার্নিভাল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আকাশের মুখ ভার দেখে বিকেল চারটে থেকেই কার্নিভাল শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আকাশবাণী ভবন থেকে শুরু করে ফোর্ট উইলিয়াম এর আগে পর্যন্ত রেড রোডের রাস্তার দুপাশে তখন থিক থিক করছে অসংখ্য মানুষের ভিড়।
তবে তা সত্ত্বেও একবারের জন্যও থমকালো না কলকাতার যানবাহনের গতি। আগে থেকে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এর জন্য কলকাতা পুলিশ যে দুর্দান্ত পরিকল্পনা করেছিল তার ফলে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হল রোডে বার্ষিক দুর্গা পুজো কার্নিভাল। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া দূর্গা পুজো কার্নিভালের ইতিহাসে এবারেই সবথেকে বেশি সংখ্যক পুজো কমিটির অংশগ্রহণ ঘিরে আশঙ্কা ছিল যানজটের। কিন্তু কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার অন্তত ১১৩ সেরা দুর্গা পুজো কমিটির উপস্থিতি সত্ত্বেও বিন্দুমাত্র বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলো না। তবে হাওড়া উলুবেড়িয়া ব্যারাকপুর বরানগর দক্ষিণের সোনারপুর ক্যানিং অথবা বজবজ থেকে ছুটে আসা উৎসাহী দর্শনার্থীরা অনেকেই আফসোস করেছেন রেড রোডটা আরো বড় কেন হল না! কারণ বসতে পারেননি হাজার হাজার মানুষ। তাই গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু করে পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশন এবং রাজভবনের সামনে দিয়ে রানী রাসমণি রোড পর্যন্ত উৎসাহী দর্শকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
১১৩ দুর্গা প্রতিমা যেহেতু এবারের কার্নিভালে অংশগ্রহণ করেছে তার জন্য আগাম সর্তকতা হিসেবে রেড রোডে যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগেই। প্রত্যেকটি পুজো কমিটির পারফরমেন্সের আগে তাদের প্রতিমার সঙ্গে মোতায়েন ছিলেন একজন করে উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিক। সকাল থেকেই বারে বারে রেডরোড এবং সংলগ্ন এলাকায় কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ ও আধিকারিকদের নিয়ে ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেছেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা নিজে। প্রতিটি প্রতিমার মধ্যে কিছু দূরত্ব রাখা হয়েছে। নাচ গানের মধ্যে দিয়ে মেতে উটেছে গোটা শহর। খুদে থেকে বয়স্কদের দেখা মিলছে আজকের অনুষ্ঠানে।
