মানুষই পারে মহাকাশ জয় করতে
কল্পনায় ব্যর্থ হয়েও সুনীতায় সফল
ড. স্বপ্নদীপ রায়
টেকনিকাল ফ্রিকোয়েন্সি সুপারভাইজার, জে এফ কেনেডি স্পেস স্টেশন, মেরিট আইল্যান্ড, ফ্লোরিডা
৩৬৫ দিন। সেফ ল্যান্ডিং .. সেফ ল্যান্ডিং .. উচ্ছ্বাসে ভাসছে ২ লক্ষ স্কোয়ার ফিটের নাসার কমান্ডিং জোন। ফ্লোরিডায় নির্ধারিত অফ কোস্ট ওয়াটারে স্পেস এক্স ৯ ক্রু শাটল ভারতীয় সময় ভোর ৩.২৭ মিনিট ২১ সেকেন্ডে স্প্ল্যাশডাউন ল্যান্ডিং করল। কল্পনা চাওলা পারেননি,সুনীতা পারলেন পৃথিবীর মাটি ছুঁতে। স্পেস কমান্ডিং ফ্লোরে ২২৩৪ জন টেকনিকাল টিম,যারা বিগত ৪৮ ঘণ্টা মনিটরে চোখ লাগিয়ে যাবতীয় প্যারামিটার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নজর রাখছিলেন,তাদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস বহুদিন মনে থাকবে। সব প্রোটোকল ভেঙে নাসার মিডিয়া টিম স্পিকারে চালিয়ে দিয়েছে ,হোম কামিং গান। নেভির বিশেষ টিম ওদের স্পেস শাটল থেকে বের করে নিয়ে আসবে ১ ঘণ্টার মধ্যেই।আলফা রশ্মি দিয়ে স্ক্যানিং দীর্ঘ কয়ারেন্টিনে থাকবেন সুনীতারা
দীর্ঘ ৯ মাস মাধ্যাকর্ষণ শূন্য অবস্থায় থাকার জন্য নানা রকম সমস্যা তাদের দেখা দিতে পারে। ফ্লোরিডায় ল্যান্ডিংয়ের পরেই তাদের নিয়ে যাওয়া হবে নাসার নিজস্ব স্পেস ল্যাবরেটরিতে। যেখানে আলফা রেড রশ্মি দিয়ে পুরো স্ক্যানিং হবে দুই মহাকাশচারীর দেহ। মহাজাগতিক কোনও জীবাণু বা ভাইরাস তারা পৃথিবীতে বয়ে এনেছেন কিনা সেটার পরীক্ষা হবে। এই ৯ মাসে প্রায় ৯০ ঘণ্টা দুজনে স্পেস ওয়াক করেছেন। ফলে মহাকাশে অসংখ্য ধূলিকণা ও মহাজাগতিক রশ্মির সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা। ফলে অসংখ্য অজানা জীবাণু তাদের শরীরের সংস্পর্শে আসতে পারে। তাই এই পরীক্ষা। এই পরীক্ষার পর তাদের নিয়ে যাওয়া হবে নাসার স্পেশাল কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। যেখানে সব ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার শেষে ৭ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত কয়ারেন্টিনে তাদের থাকতে হতে পারে।