পাসপোর্ট নিয়ে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ
নতুন পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে পুলিশকে আরও সতর্ক হতে হবে

৩৬৫ দিন । পাসপোর্ট জালিয়াতিতে তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাক বিভাগ ও খোদ পাসপোর্ট দফতরের গাফিলতি যেমন সামনে এসেছে তেমনি পুলিশের তরফেও আরও বেশ কিছু অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়ার ঘোষণা করলেন পুলিশ কমিশনার (Kolkata Police Commissioner) মনোজ ভার্মা (Manoj  Verma)। এছাড়াও পাসপোর্ট যাচাই নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর নির্দেশিকা নিয়েও শনিবার আঞ্চলিক পাসপোর্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুলিশের আধিকারিকরা।
এদিন পুলিশ কমিশনার মনোজ জানান পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় পুলিশি ভূমিকায় বদল আনছে কলকাতা পুলিশ। আরও কড়া হচ্ছে পুলিশি ভেরিফিকেশন। নয়া প্রক্রিয়া কি হচ্ছে তা নিয়ে প্রতিটি থানায় নির্দেশিকা পাঠাচ্ছেন নগরপাল। যেখানে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাসপোর্ট এর চূড়ান্ত ভেরিফিকেশন রিপোর্ট দেওয়ার আগে সব থানার ওসিকে নোডাল অফিসারের সঙ্গে কথা বলতেই হবে। ভেরিফিকেশনের সময় ভিনরাজ্য থেকে আসা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অপরাধের তথ্য এবং জন্ম তারিখের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সতর্ক হয়ে ঠিকানা যাচাই করতে হবে। ভেরিফিকেশনের সময় পুলিশ কী ভূমিকা পালন করছে, তা খাতায় কলমে নথিবদ্ধ করতে হবে, যাতে পুলিশকে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে না হয়। পাসপোর্ট আবেদনকারীর ঠিকানা প্রয়োজনে যাচাই করবেন এসিপি, ডিসিপিরা। শুধু ঠিকানা যাচাই নয়, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের গোটা প্রক্রিয়াই নজরদারি করতে হবে তাঁদের। যাচাই করা তথ্য জাতীয়স্তরের পোর্টালেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
একইসঙ্গে শনিবার পাসপোর্ট অফিসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। তাঁরা যে গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন তা এদিন তুলে ধরেন। পুলিশের দাবি, জাল পাসপোর্ট তৈরি করছে যারা তারা অনলাইনে আবেদনকারী বাড়ির ঠিকানা আর থানার নাম নিজের সুবিধামতো দিচ্ছে। যাতে সহজেই পুলিশের নজরদারি বাঁচিয়ে পাসপোর্ট ইস্যু হয়ে যায় সে কারণেই এই ব্যবস্থা করেছিল জালিয়াতরা। পাসপোর্টের ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত বিদেশ মন্ত্রকের গাইডলাইন বিভ্রান্তিকর। পুলিশ সূত্রের দাবি, সেখানে বলা আছে আবেদনকারীর বাড়িতে গিয়ে ভেরিফিকেশন করা যাবে না। আবেদনকারীকে থানাতেও ডাকা যাবে না। আর এই ফাঁক গলেই জাল পাসপোর্ট তৈরি হয়ে চলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আজকের বৈঠকে পুলিশ বেশ কিছু গরমিল যা নজরে পড়েছে কলকাতা পুলিশের সেটাই তারা পাসপোর্ট অফিসারদের জানিয়েছেন। তবে কলকাতা পুলিশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেউ পাসপোর্ট আবেদন করলে তাঁর বাড়ি গিয়ে ভেরিফিকেশন করবেই।এছাড়াও কোনো পুলিশ কর্মী ভেরিফিকেশন সমস্যা দেওয়া নথি যাচাই না করে ভেরিফিকেশন ক্লিয়ার এর সুপারিশ করতে পারবেন না। সে কারণে ইতিমধ্যেই সব থানার কাছে চলে গিয়েছে স্পষ্ট নির্দেশ।

Scroll to Top