শিল্পপতি গৌতম আদানির এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ছ’জনের বিরুদ্ধে আমেরিকার আদালতে মামলা দায়েরের ঘটনা নিয়ে এ বার প্রতিক্রিয়া জানাল হোয়াইট হাউস। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দফতরের তরফে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, এই ঘটনার নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন নিবিড় সম্পর্কের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিনান পিয়ের সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘আমরা মনে করি ভারত-আমেরিকা দৃঢ় সম্পর্ক সমস্যা সমাধানের দিশানির্দেশক হবে।’’ আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগকে আদানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেশ করতে হবে জানিয়ে পিয়েরের মন্তব্য, ‘‘আমরাও বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন।’’ কয়েকটি রাজ্যের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভারতের ‘সরকারি আধিকারিকদের’ (যাঁর মধ্যে নেতা-মন্ত্রীরাও রয়েছেন) ২৬.৫ কোটি ডলার (প্রায় ২২৩৭ কোটি টাকা) ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি আদানির বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিদ্যুৎ নিগমের আধিকারিকদের ওই ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। গৌতম, তাঁর ভাইপো সাগর-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে আমেরিকার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এবং সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মোট পাঁচটি ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছে। আমেরিকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইতিমধ্যেই গৌতম এবং সাগরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
কিন্তু ভারতে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভারতীয় নেতা-মন্ত্রী-আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাবের অভিযোগে আদানিদের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত এবং আইনি পদক্ষেপ করছে আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা? আদালতকে জানানো হয়েছে, আমেরিকা থেকে মূলধন সংগ্রহ করে আদানি গ্রিন এনার্জির বোর্ড সদস্যেরা বেআইনি পথ নিয়েছেন। সেই মূলধন ব্যয় হতে পারে ঘুষ দিতে। আদানিরা তাঁদের সহযোগী একটি কোম্পানির মাধ্যমে আমেরিকা শেয়ার বাজার থেকে সেই অর্থ সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ। আমেরিকার আইন অনুযায়ী সে দেশের শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত কোনও কোম্পানি বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ঘুষ দিতে ব্যবহার করলে আইনি পদক্ষেপ অবশ্যম্ভাবী।